রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসনসহ ৭ দফা দাবি বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক :

  • রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও স্থানীয়দের চাকুরি নিশ্চিত করতে হবে: শাহজাহান চৌধুরী

উখিয়া টেকনাফে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের সাথে কুটনৈতিক আলাপের মাধ্যমে দ্রুত প্রত্যাবাসন সহ ৭ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য অন্তর্তিকালীন সরকারের কাছে অনুরোধ জানিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নে নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন এলাকায় উখিয়া টেকনাফের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরীর পরিদর্শনকালে আয়োজিত এক সভায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে এমন দাবি জানানো হয়।

সভায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন ছমিরা আক্তার। এসময় সে ৭ দফা দাবী তুলে ধরেন। দাবীগুলো হল, যে সব এলাকায় রোহিঙ্গারা বসবাস করে সেই সব এলাকায় স্থানীয়দের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, রোহিঙ্গারা শিবিরের বাইরে এবং ভিতরে কোনো দোকান, ব্যবসা, চাকরি করতে পারবেনা, অপহরণ ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান, যে সব রোহিঙ্গারা আইডি কার্ড, জম্ম নিবন্ধন এবং পাসপোর্ট নিয়ে অবাধে চলাফেরা করছে তাদের সেই সব ডকুমেন্ট বাতিল করা, কোনো রোহিঙ্গা শিশু বাংলাদেশের সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করতে পারবেনা, এনজিওদের বরাদ্দকৃত স্থানীয়দের জন্য ৩০% সুযোগ সুবিধা এবং ৭০% স্থানীয়দের যোগ্যতা অনুযায়ী চাকুরিতে নিয়োগ করতে হবে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ ও এদেশে অবস্থানরত সকল রোহিঙ্গাদের দ্রুত প্রত্যাবাসন করতে হবে।

বুধবার টেকনাফ উপজেলার মোছনী গ্রামে নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পের অভ্যন্তরে স্থানীয়দের বসত বাড়িতে গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুইজনকে অপহরণ করার পর ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার জের ধরে রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ, রোহিঙ্গাদের গুলি বর্ষণ ও প্রতিবাদে সড়ক অবরোধও হয়েছিল। এর জের ধরে উখিয়া টেকনাফের সাবেক এমপি ও জেলা বিএনপির সভাপতি শাহজাহান চৌধুরী ওই এলাকা পরিদর্শনে যান।
এসময় তিনি অপহৃত ও নির্যাতিত দুদু মিয়া ও তার দুই ছেলে তারেক এবং রাসেলকে দেখতে যান। তাদের সাথে কথা বলেন এবং শারিরিক খোঁজখবর নেন ও অপহরণ বিষয়টি মনোযোগ সহকারে শুনেন। কথা বলেন স্থানীয় লোকজনের সাথেও।

সভায় শাহজাহান চৌধুরী বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফে যেসব এলাকায় মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা নাগরিক আশ্রয় নিয়েছে সেসব রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার ও স্থানীয়দের চাকুরি নিশ্চিত করতে হবে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার শুধু নিজেদের উন্নয়ন চেয়েছে। রোহিঙ্গাদের কারণে সৃষ্ট খুন, গুম, অপহরণসহ আইনশৃঙ্খলার দিকে নজর রাখেনি। ফলে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকার মানুষের জান মালের নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়েছে। নিত্যপন্যের দাম বেড়েছে। ভুক্তভোগীরা চাকরি পায়নি। যাদের যে সুবিধা পাওয়ার কথা তা থেকে বঞ্চিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আইনের শাসন ও ভোটের অধিকার এ সরকারকে করতে হবে।

সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, টেকনাফ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এড. হাসান ছিদ্দিকী, সাধারণ সম্পাদক মো শাহাদত হোসেন, হ্নীলা ইউনিয়ন দক্ষিণ বিএনপির সভাপতি নুরুল আমিন চৌধুরী, হ্নীলা ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ আলী, বদিউর রহমান সহ অন্যান্যরা।